বন্যাজনিত কারণে বুধবার আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সারা দেশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানা গেছে- সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় তিনজন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন আর ফরিদপুরে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। এছাড়া গত ৩০ জুন থেকে এই পর্যন্ত ডায়রিয়া, আরআইটি’র মতো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪০ হাজার ৭১০ জন।
দেশজুড়ে ১৬৩টি উপজেলার অনেক এলাকা ও ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার কারণে হাজার হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত ভেসে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। ১৯৯৮ সালের পর যা সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা বলে মনে করা হচ্ছে।
বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কতা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আগামী ২৪ ঘন্টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন সংলগ্ন নিম্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
বুধবার সকালে সারা দেশের পাঁচটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার অব্যাহত থাকতে পারে। অন্যদিকে, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
Leave a Reply